ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি, সংবাদকর্মীর সাথে অসদাচরণ ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে কর্মরত সাংবাদিকরা।
রবিবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিতকরণ ও সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশ তৈরির দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ফরিদপুরের কর্মরত সাংবাদিকরা।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল,মফিজ ইমাম মিলন, মাহফুজ মিলন , নাজিম বকাউল, সঞ্জীব দাস মোঃ সেলিম মোল্লা প্রমুখ ।
সাংবাদিকরা আধাঘন্টা মানববন্ধন কর্মসূচির শেষে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবিরের অপসারণের দাবিতে মুজিব সড়কে অবরোধ করে এ সময় সড়কে বসে পড়ে।
সাংবাদিকরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির পরিচালক হিসেবে ডা. হুমায়ুন কবির দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু ফরিদপুর জেলা নয় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অসহায় দরিদ্র সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা নানান ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অসহযোগিতা এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
গত শনিবার ৬ জুলাই দুপুরে হাসপাতালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক সাপে কাটা রোগীর ছবি ভিডিও করতে গেলে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ ওই ফটো সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
পরে সংবাদকর্মীরা সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রেস ক্লাবে জরুরী মিটিং করে আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও পরিচালক হুমায়ুন কবিরকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা , কর্মচারীরা জানান , ইতি পূর্বে শতকোটি টাকার মেডিকেলের পর্দা কেলেঙ্কারি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয় , এতে একাধিক ডাক্তার চাকরীচ্যুত হোন এবং কয়েকজন মামলা করে চাকরী ফেরত পান । ঐসকল ডাক্তারগন ফরিদপুরেই অবস্থান করেন । তারাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ পরিচালককে পরামর্শ দেন কোন সাংবাদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তথ্য নিতে আসলে সে যেন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে । তথ্য প্রকাশ করলেই আরো দুর্নীতি বেরিয়ে আসতে পারে এই ভয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদআচারন করেন বলে তারা দাবি করেন ।