ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাবিবার কলেজ স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনসার বাহিনী 

বাবা হারা সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন সংগ্রাম করছিলেন মা তাসলিমা বেগম। অভাবের সংসারে কোনোমতে মেয়ে হাবিবাকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে দিলেও মায়ের ভাবনা ছিল পরীক্ষার পরে মেয়ের কলেজের ভর্তি নিয়ে। মায়ের মানবেতর জীবন-সংগ্রামের কথা জানতে পেরে হাবিবার কলেজের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শরীয়তপুর জেলা কমান্ডো মো. মইনুল ইসলাম। কথা অনুযায়ী হাবিবাকে কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করে বইখাতাসহ চেয়্যার-টেবিল ক্রয় করে দিয়েছেন তিনি। তাই বিয়ের পিঁড়িতে না বসে কলেজে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো হাবিবার।
বুধবার (১০ জুলাই) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নসাশন ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামে হাবিবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তার বইপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় মা দিবস। গত মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবসের দিন হাবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। ওইদিন মা দিবস উপলক্ষ্যে হাবিবার মা তাসলিমা বেগম বলেছিলেন, ‘মেয়ে আজ যে সুসংবাদ দিয়েছে, তাতে আমি কষ্ট ভুলে গেছি’। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওই দিনই হাবিবার বাড়িতে গিয়ে তার পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নেন মো. মইনুল ইসলাম।
জানা যায়, চার সন্তান রেখে হাবিবার বাবা দুলাল সরদার মারা যান। এরপর হাবিবার মা তাসলিমা বেগম চার সন্তান নিয়েশুরু করেন জীবন সংগ্রাম। বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষ, সেলাই মেশিনে জামা তৈরীসহ বিভিন্ন কাজ করে ছেলে-মেয়ের মুখের আহার সংগ্রহ করতে হতো তাসলিমাকে। অভাবের সংসারে হাবিবার কলেজে পড়াশোনার স্বপ্ন থাকলেও তার মা ও অন্যান্য ভাইবোনদের ইচ্ছে ছিল এসএসসি পরীক্ষার পরে হাবিবাকে বিয়ে দিবেন। গত ১২ মে মা দিবসের দিনই হাবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে হাবিবা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু মেয়ের কৃতিত্বে মেয়েকে মিষ্টিমুখ করাবেন তো দূরের কথা, ঘরে ভালো-মন্দ কিছু রান্না করার মতো ছিল না তাসলিমা বেগমের। তবুও মা দিবস উপলক্ষ্যে নিজের সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে তাসমিলা বেগম জানান, মেয়ে আজ যে সু-সংবাদ দিয়েছে, তাতে আমি কষ্ট ভুলে গেছি। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর কমাড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম পরবর্তীতে ওইদিনই তিনি মিষ্টি নতুন জামা ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে তাসলিমা বেগমের সঙ্গে দেখা করে হাবিবার পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে চাইলে হাবিবার পরিবার তাতে সম্মতি প্রদান করেন। এতে বিয়ের পিঁড়িতে না বসে কলেজে পড়ার স্বপ্ন আরো রঙিন হয় হাবিবার।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে হাবিবা খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নড়িয়ার ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় সে। হাবিবার ভর্তি ফিসহ অন্যান্য খরচ প্রদানের জন্য ওই কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনসার বাহিনী। হাবিবার পরিবারের বিস্তারিত জানতে পেরে তার ভর্তি ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি মওকুফ করে দেয় কলেজ প্রশাসন।
আজ বুধবার বিকেলে হাবিবার বাড়িতে গিয়ে চেয়ার, টেবিলসহ একাদশ শ্রেণীর এক সেট বই, খাতা-কলম, শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক এ কে এম আমিনুল হকের লেখা আনসার বাহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান  সম্পর্কিত বিভিন্ন বইপত্র তুলে দেন জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম।
মেয়ে কলেজে ভর্তির পরে এমন উপহার পেয়ে তাসলিমা বেগম বলেন, ভেবেছিলাম আর পড়াব না মেয়েকে। বিয়ের চিন্তা করছিলাম আমিসহ পরিবারের সবাই। অভাবের কারণে আমার মেয়েকে কোনোদিন চেয়ার-টেবিলে পড়তে বসাতে পারিনি। বাবা হারা আমার মেয়ে কলেজে পড়বে ভাবতেও পারিনি। আমি মইনুল স্যারের জন্য দোয়া করি।
কলেজে ভর্তি নিশ্চিতের পরে চেয়ার টেবিল উপকরণ পেয়ে হাবিবা আক্তার খুশিতে বলেন, আনসার বাহিনী আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। চেয়ার টেবিল কলেজের ভর্তি ও বইসহ উপহার দিয়েছেন। এখন আমি চেয়ার-টেবিলে বসে পড়াশোনা করতে পারব, এটা আমার কাছে বর্ণনাতীত আনন্দ সংবাদ। আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করি আমি। আমার জন্যও দোয়া করবেন, যেন আমি শিক্ষক হয়ে অন্য এতিম ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে পড়াতে পারি।
ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ কমলেশ চক্রবর্তী বলেন, হাবিবা ও তার মায়ের জীবন সংগ্রামের বিস্তারিত জানতে পেরে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাবিবার ভর্তি ফিসহ কলেজের সকল ফি মওকুফ করা হয়েছে। হাবিবা কোনো প্রকার ফি প্রদান ব্যতিত কলেজে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারবে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শরীয়তপুরের কমাড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম বলেন, এবছরের মে মাসে মা  দিবসের দিন জানতে পারি তাসলিমা ও হাবিবার পরিবারের জীবন সংগ্রামের কথা। পরবর্তীতে হাবিবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম।
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় গ্রাম পর্যায়ে আনসার বাহিনীর সেবা পৌঁছে দিতে মানবিক এমন কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করেন। হাবিবার পড়াশোনার সকল খরচ আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। হাবিবার মায়ের বিধবা ভাতার কার্ড সহ তার প্রয়োজনীয় বইপত্র চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য উপকরণ তাকে উপহার দিয়েছি। সমাজে এমন অনেক হাবিবা রয়েছে, যারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয়। সচেতনরা একটু উদ্যোগ নিলেই এরা সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারে। হাবিবার পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আনসার  বাহিনী তার পাশে থাকবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জে স্টার বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

হাবিবার কলেজ স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনসার বাহিনী 

আপডেট সময় ০৭:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
বাবা হারা সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন সংগ্রাম করছিলেন মা তাসলিমা বেগম। অভাবের সংসারে কোনোমতে মেয়ে হাবিবাকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে দিলেও মায়ের ভাবনা ছিল পরীক্ষার পরে মেয়ের কলেজের ভর্তি নিয়ে। মায়ের মানবেতর জীবন-সংগ্রামের কথা জানতে পেরে হাবিবার কলেজের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শরীয়তপুর জেলা কমান্ডো মো. মইনুল ইসলাম। কথা অনুযায়ী হাবিবাকে কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করে বইখাতাসহ চেয়্যার-টেবিল ক্রয় করে দিয়েছেন তিনি। তাই বিয়ের পিঁড়িতে না বসে কলেজে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো হাবিবার।
বুধবার (১০ জুলাই) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নসাশন ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামে হাবিবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তার বইপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় মা দিবস। গত মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবসের দিন হাবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। ওইদিন মা দিবস উপলক্ষ্যে হাবিবার মা তাসলিমা বেগম বলেছিলেন, ‘মেয়ে আজ যে সুসংবাদ দিয়েছে, তাতে আমি কষ্ট ভুলে গেছি’। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওই দিনই হাবিবার বাড়িতে গিয়ে তার পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নেন মো. মইনুল ইসলাম।
জানা যায়, চার সন্তান রেখে হাবিবার বাবা দুলাল সরদার মারা যান। এরপর হাবিবার মা তাসলিমা বেগম চার সন্তান নিয়েশুরু করেন জীবন সংগ্রাম। বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষ, সেলাই মেশিনে জামা তৈরীসহ বিভিন্ন কাজ করে ছেলে-মেয়ের মুখের আহার সংগ্রহ করতে হতো তাসলিমাকে। অভাবের সংসারে হাবিবার কলেজে পড়াশোনার স্বপ্ন থাকলেও তার মা ও অন্যান্য ভাইবোনদের ইচ্ছে ছিল এসএসসি পরীক্ষার পরে হাবিবাকে বিয়ে দিবেন। গত ১২ মে মা দিবসের দিনই হাবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে হাবিবা কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু মেয়ের কৃতিত্বে মেয়েকে মিষ্টিমুখ করাবেন তো দূরের কথা, ঘরে ভালো-মন্দ কিছু রান্না করার মতো ছিল না তাসলিমা বেগমের। তবুও মা দিবস উপলক্ষ্যে নিজের সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে তাসমিলা বেগম জানান, মেয়ে আজ যে সু-সংবাদ দিয়েছে, তাতে আমি কষ্ট ভুলে গেছি। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর কমাড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম পরবর্তীতে ওইদিনই তিনি মিষ্টি নতুন জামা ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে তাসলিমা বেগমের সঙ্গে দেখা করে হাবিবার পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে চাইলে হাবিবার পরিবার তাতে সম্মতি প্রদান করেন। এতে বিয়ের পিঁড়িতে না বসে কলেজে পড়ার স্বপ্ন আরো রঙিন হয় হাবিবার।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে হাবিবা খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নড়িয়ার ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় সে। হাবিবার ভর্তি ফিসহ অন্যান্য খরচ প্রদানের জন্য ওই কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনসার বাহিনী। হাবিবার পরিবারের বিস্তারিত জানতে পেরে তার ভর্তি ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি মওকুফ করে দেয় কলেজ প্রশাসন।
আজ বুধবার বিকেলে হাবিবার বাড়িতে গিয়ে চেয়ার, টেবিলসহ একাদশ শ্রেণীর এক সেট বই, খাতা-কলম, শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক এ কে এম আমিনুল হকের লেখা আনসার বাহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান  সম্পর্কিত বিভিন্ন বইপত্র তুলে দেন জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম।
মেয়ে কলেজে ভর্তির পরে এমন উপহার পেয়ে তাসলিমা বেগম বলেন, ভেবেছিলাম আর পড়াব না মেয়েকে। বিয়ের চিন্তা করছিলাম আমিসহ পরিবারের সবাই। অভাবের কারণে আমার মেয়েকে কোনোদিন চেয়ার-টেবিলে পড়তে বসাতে পারিনি। বাবা হারা আমার মেয়ে কলেজে পড়বে ভাবতেও পারিনি। আমি মইনুল স্যারের জন্য দোয়া করি।
কলেজে ভর্তি নিশ্চিতের পরে চেয়ার টেবিল উপকরণ পেয়ে হাবিবা আক্তার খুশিতে বলেন, আনসার বাহিনী আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। চেয়ার টেবিল কলেজের ভর্তি ও বইসহ উপহার দিয়েছেন। এখন আমি চেয়ার-টেবিলে বসে পড়াশোনা করতে পারব, এটা আমার কাছে বর্ণনাতীত আনন্দ সংবাদ। আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করি আমি। আমার জন্যও দোয়া করবেন, যেন আমি শিক্ষক হয়ে অন্য এতিম ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে পড়াতে পারি।
ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ কমলেশ চক্রবর্তী বলেন, হাবিবা ও তার মায়ের জীবন সংগ্রামের বিস্তারিত জানতে পেরে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাবিবার ভর্তি ফিসহ কলেজের সকল ফি মওকুফ করা হয়েছে। হাবিবা কোনো প্রকার ফি প্রদান ব্যতিত কলেজে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারবে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শরীয়তপুরের কমাড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম বলেন, এবছরের মে মাসে মা  দিবসের দিন জানতে পারি তাসলিমা ও হাবিবার পরিবারের জীবন সংগ্রামের কথা। পরবর্তীতে হাবিবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম।
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় গ্রাম পর্যায়ে আনসার বাহিনীর সেবা পৌঁছে দিতে মানবিক এমন কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করেন। হাবিবার পড়াশোনার সকল খরচ আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। হাবিবার মায়ের বিধবা ভাতার কার্ড সহ তার প্রয়োজনীয় বইপত্র চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য উপকরণ তাকে উপহার দিয়েছি। সমাজে এমন অনেক হাবিবা রয়েছে, যারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয়। সচেতনরা একটু উদ্যোগ নিলেই এরা সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারে। হাবিবার পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আনসার  বাহিনী তার পাশে থাকবে।