ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য ১০ ঘর ভেঙে নদীতে

ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পালডাঙ্গি (ধলার মোর) এলাকায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ১০ টি বসতবাড়ি পুকুরের গর্তে ধ্বসে পড়েছে । হুমকির মুখে রয়েছে শহর রক্ষা বাধ সহ ৫-৭ টি ইটের ভাটা , ৩০-৩৫ টি বসতবাড়ি।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় , অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার প্রায় ১০ টি বাড়ি ধ্বসে পুকুরে নিমজ্জিত হয়েছে ।
 ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী পারভীন , মমতাজ , দেলোয়ার , ইরানী ও বদিউদ্দিন জানান , তাদের বসত বাড়ির বাথরুম , রান্নাঘর , টিউবওয়েল ও কয়েকটি থাকার ঘর ধ্বসে গর্তে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে , যেকোন সময় বসত বাড়ির বাকি অংশটুকু পুকুরের গর্তে চলে যেতে পারে । আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি । আমরা মাটি কাটায় বাধা দিলে আজম গং রা ভয় ভীতি দেখায় , থানাকে অবগত করেছিলাম কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি । বালু ও মাটি উত্তোলনকারী ব্যক্তিরা এতোই শক্তিশালী কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না ।
ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাউসার জানান ,  আমি আজমকে মাটি কাটতে নিষেধ করেছি , আজম বলেছে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলো আমি মাটি ফেলে আবার ভরাট করে দিবো ।
ডিগ্রীরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান , আমি চেষ্টা করেছি অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধ করার কিন্তু এরা এতোটাই ধূর্ত ও প্রভাবশালী যে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে এরা এ মাটি ও বালু উত্তোলন করে । এরা অবৈধভাবে টাকা খরচ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । এ ধরণের অবৈধ উত্তোলন রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান , আমি এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসীরা জানান , যেভাবে বেপরোয়া ভাবে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে অতিদ্রুত শহর রক্ষা বাধ বিলীন হয়ে যাবে ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মামলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ফরিদপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য ১০ ঘর ভেঙে নদীতে

আপডেট সময় ০৩:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পালডাঙ্গি (ধলার মোর) এলাকায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ১০ টি বসতবাড়ি পুকুরের গর্তে ধ্বসে পড়েছে । হুমকির মুখে রয়েছে শহর রক্ষা বাধ সহ ৫-৭ টি ইটের ভাটা , ৩০-৩৫ টি বসতবাড়ি।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় , অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার প্রায় ১০ টি বাড়ি ধ্বসে পুকুরে নিমজ্জিত হয়েছে ।
 ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী পারভীন , মমতাজ , দেলোয়ার , ইরানী ও বদিউদ্দিন জানান , তাদের বসত বাড়ির বাথরুম , রান্নাঘর , টিউবওয়েল ও কয়েকটি থাকার ঘর ধ্বসে গর্তে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে , যেকোন সময় বসত বাড়ির বাকি অংশটুকু পুকুরের গর্তে চলে যেতে পারে । আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি । আমরা মাটি কাটায় বাধা দিলে আজম গং রা ভয় ভীতি দেখায় , থানাকে অবগত করেছিলাম কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি । বালু ও মাটি উত্তোলনকারী ব্যক্তিরা এতোই শক্তিশালী কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না ।
ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাউসার জানান ,  আমি আজমকে মাটি কাটতে নিষেধ করেছি , আজম বলেছে ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলো আমি মাটি ফেলে আবার ভরাট করে দিবো ।
ডিগ্রীরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান , আমি চেষ্টা করেছি অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধ করার কিন্তু এরা এতোটাই ধূর্ত ও প্রভাবশালী যে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে এরা এ মাটি ও বালু উত্তোলন করে । এরা অবৈধভাবে টাকা খরচ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । এ ধরণের অবৈধ উত্তোলন রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান , আমি এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসীরা জানান , যেভাবে বেপরোয়া ভাবে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে অতিদ্রুত শহর রক্ষা বাধ বিলীন হয়ে যাবে ।