ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের পাট ক্ষেতে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচিত করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম জানান, ওই কিশোরী বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করার সময় কাপড় পরিবর্তন কালে তার উপরে নজর পড়ে শাহজালাল ওরফে শাহাদাতের। এ সময় কিশোর শাহাদাত ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে পাশের পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে কিশোরীর মতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা, পরিবারকে জানিয়ে দিবে বলে জানালে শাহাদাত তাকে বোঝাবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে সালোয়ার দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার জানান, ওই আসামিকে আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে সব তথ্য প্রকাশ করেছে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহেনশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী হোগলাডাঙ্গি গ্রামের পাট ক্ষেত থেকে কিশোরী রেখা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় নলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পরের দিন ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের মা মেরী আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।