ফরিদপুরে সপ্তাহে শুক্রবার আসলেই বাজারে গিয়ে মাছ সহ নিত্য পণ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ জনগনের, অভিযোগ একাধিক বাজার করতে আসা ব্যক্তিদের। ব্যক্তিরা জানান সিন্ডিকেট আর অধিক মুনাফার আশায় বাজার ব্যবস্থা ও নিত্যপণ্যের মুল্যের এ বেহাল দশা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৮ শে জুন) টেপাখোলা মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ বিক্রেতারা দুই হাজার, তিন হাজার এবং সর্বনিম্ন এক হাজার টাকার কমে মাছের কোন ভাগ দিচ্ছে না। অধিক / চড়া দামে মাছের ভাগ দিয়ে বিক্রির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা বাজারে গিয়ে মাছ কিনতে পারে না, সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ফরিদপুরের টেপাখোলা বাজারে মাছ কিনতে আসা নাসির, কাশেম, ফজল, তুহিন সহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, শুক্রবারে আমরা টেপাখোলা বাজারে মাছ কিনতে পারিনা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও। তার কারন হচ্ছে সপ্তাহে একদিন সরকারি ঘুষখোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাজার করতে বাজারে আসে। তারা বাজারে এসে খুবই কম দামাদামি করে এবং মাছ
বিক্রেতারা যা দাম চায় তাই দিয়ে নিয়ে
যায়। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে
একাধিক মাছ বিক্রেতারা জানান,
শুক্রবারে মাছ বিক্রি করতে ভালো
লাগে, দাম ও বেশি পাই। কারন জানতে চাইলে তারা জানায়, শুক্রবারে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাজার করতে আসে এবং যা দাম চাই তাই দিয়ে তারা নিয়ে যায়। এজন্য শুক্রবারে মাছের ছোট ভাগ দেই না।বড় বড় টাকার ভাগ দিয়ে থাকি যাতে তারাতারি মাছ বিক্রি হয়ে যায়।
বাজারে সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা গেলো বেশিরভাগ বাজার করতে আসা সাধারণ ব্যক্তিরা মাছ না কিনে প্রয়োজনীয় ( তরকারি) সামগ্রী কিনে বাড়ি চলে যাচ্ছে। অনেকে শুক্রবারে আর বাজারে আসবো না বলে দু:খ প্রকাশ করে সাধ্যের বাইরে নিত্যপণ্যের মুল্যের জন্য।
সাধারণ জনগন ও সুধী সমাজের দাবি, বন্ধের দিন বাজার থাকে ঘোষখোরদের নিয়ন্ত্রণে। শুধু মাছ নয় নিত্যপ্রয়োজনীয়
সব কিছুর দাম চড়া থাকে। সঠিক বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারনে ইচ্ছা মতো মুনাফা লাভের আশায় সব কিছু বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ জনগনের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারী ও স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে নিত্যপন্য সহ সকল ব্যবহার্য দ্রব্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।