মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় নারীসহ তিনজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খিদিরপার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। এতে আহতরা হলেন মোস্তফা শেখ (৬০), রেহেনা বেগম (৫৫) ও মনির শেখ (৩৫)। এঘটনায় জরিত থাকায় রাজ্জাক সরদার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২১শে জুন শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রসূলপুর গ্রামের মহাসীন শেখের নেতৃত্বে অমি শেখ (২৫), আলম সরদার (৫৫), শহিদ সরদার (৬৫), নাছির শেখ (৫৩), ছিমিন (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৪৫), পলাশ শেখ (৩০), মফিজ শেখ (৪০), নাছির মৃধা (৪৫), মিন্টু মৃধা (৪০), নয়ন মৃধা (৩০) সহ আরো ১৫/১৬ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবু বক্করের বাড়িতে ঢুকে তাকে মারধর করে। এসময় তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫৫) কে হকি দ্বারা আঘাত করে ৫টি দাঁত ভেঙ্গে দেয়। রেহেনা বেগমকে উদ্ধার করতে তার স্বামী মোস্তফা শেখ (৬০) ও ছেলে মনির শেখ (৩৫) এগিয়ে গেলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের রেফার্ড করে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, মহাসীন শেখের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ আমাদেরকে মারধর করার জন্য নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। তাই আমাদের বাড়ির পুরুষ সদস্যরা ভয়ে পালিয়ে আছে। আর আমরা নারী সদস্যরাও ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
খিদিরপার ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, আবু বক্করের বাড়িতে ঢুকে মার ধরে ঘটনাটি আমি শুনেছি এটি একটি জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। তারা এতটাই ক্ষিপ্ত ছিল যে আমি নিজে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। আমি চাই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমামা হোসেন বলেন, এবিষয়ে এক পক্ষের মামলার হয়েছে আসামি গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর পক্ষও একটি অভিযোগ করেছে সেটির তদন্ত চলছে।