ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধুখালীতে ২৬ টি বেসরকারী ক্লিনিক, তার মধ্যে বেশির ভাগই অনুমোদনহীন 

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার শহরতলীতে বেসরকারীভাবে ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে । অভিযোগ রয়েছে এ হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিন্মমানের , নেই কোন ভাল ডাক্তার ।
জানা যায় , ৭/৮ টি ক্লিনিকের কাগজপত্র থাকলে ও বেশিরভাগ ক্লিনিকের কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই ।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় , এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধুখালীর ২৬ টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই । গড়ে প্রতিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের ২/৩ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই ।  হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসা করতে হলে ৭/৮ টি কাগজ লাগবে বাধ্যতামুলক । তার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর , পারমানবিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন । কিন্তু দেখা যায় , স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আবেদন করেই ব্যবসা শুরু করে দেয় ।   এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালককে এবং জেলার সিভিল সার্জন অফিসকে  ম্যানেজ করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ।
মধুখালী উপজেলার কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে কোন সুনামধন্য ডাক্তারদের পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী জালাল সরদার জানান , ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আমরা দেই না , লাইসেন্স দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ( হাসপাতাল/ ক্লিনিক ) । আবেদনের ভিত্তিতে আমরা শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালককে জেলা থেকে সুপারিশ করে থাকি ।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান , মধুখালী উপজেলার ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৮ টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে । ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের কোন আবেদন আমি পাইনি । আমার মতে ১৮ টি প্রতিষ্ঠানেই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা খুব শীঘ্রই এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো । তিনি আরো জানান , সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনুমোদন পাবার পরেই স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্সের অনুমোদন দিবেন । কিন্তু দেখা যায় পরিবাশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দিয়ে দেয় ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক সমিতির সভাপতি মির্জা আকতারুজ্জামান খোকন জানান , আমরা বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি ।
মধুখালি উপজেলার একাধিক ব্যক্তিরা জানান , এখানকার বেসরকারী হাসপাতালের কোন বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই । স্বাস্থ্য বিভাগসহ অধীনস্থ অফিসকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান , হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জন্য গড়ে প্রায় ৫ জন ডাক্তারের প্রয়োজন হলে ও  ১০০জন দাক্তারের প্রয়োজন হয় কিন্তু সারা উপজেলায় ৭ জন ডাক্তার ও নেই । এরা কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিবে ?
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা শাখার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কোমর উদ্দিন জানান, আমরা মালিক পক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি দীর্ঘ দিন ধরে কিন্তু এর কোন সুরাহা এখনো হয়নি ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু জানান , স্বাস্থ্য সেবা একটি মহান পেশা , এ পেশা যারা অবৈধ ভাবে করে আসছে এটা ঠিক না । এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।
উল্লেখ্য,  ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলায় ২৪২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে মধুখালীতে ২৬ টি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারীপুর থেকে চুরি হওয়া গরু ফরিদপুরে জনতার হাতে চোর সহ আটক

মধুখালীতে ২৬ টি বেসরকারী ক্লিনিক, তার মধ্যে বেশির ভাগই অনুমোদনহীন 

আপডেট সময় ০৬:৪১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার শহরতলীতে বেসরকারীভাবে ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে । অভিযোগ রয়েছে এ হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিন্মমানের , নেই কোন ভাল ডাক্তার ।
জানা যায় , ৭/৮ টি ক্লিনিকের কাগজপত্র থাকলে ও বেশিরভাগ ক্লিনিকের কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই ।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় , এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধুখালীর ২৬ টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই । গড়ে প্রতিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের ২/৩ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন করা নেই ।  হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসা করতে হলে ৭/৮ টি কাগজ লাগবে বাধ্যতামুলক । তার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর , পারমানবিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন । কিন্তু দেখা যায় , স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আবেদন করেই ব্যবসা শুরু করে দেয় ।   এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালককে এবং জেলার সিভিল সার্জন অফিসকে  ম্যানেজ করে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ।
মধুখালী উপজেলার কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে কোন সুনামধন্য ডাক্তারদের পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী জালাল সরদার জানান , ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আমরা দেই না , লাইসেন্স দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ( হাসপাতাল/ ক্লিনিক ) । আবেদনের ভিত্তিতে আমরা শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালককে জেলা থেকে সুপারিশ করে থাকি ।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান , মধুখালী উপজেলার ২৬ টি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৮ টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে । ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের কোন আবেদন আমি পাইনি । আমার মতে ১৮ টি প্রতিষ্ঠানেই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা খুব শীঘ্রই এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো । তিনি আরো জানান , সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনুমোদন পাবার পরেই স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্সের অনুমোদন দিবেন । কিন্তু দেখা যায় পরিবাশ অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দিয়ে দেয় ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক সমিতির সভাপতি মির্জা আকতারুজ্জামান খোকন জানান , আমরা বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি ।
মধুখালি উপজেলার একাধিক ব্যক্তিরা জানান , এখানকার বেসরকারী হাসপাতালের কোন বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই । স্বাস্থ্য বিভাগসহ অধীনস্থ অফিসকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান , হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জন্য গড়ে প্রায় ৫ জন ডাক্তারের প্রয়োজন হলে ও  ১০০জন দাক্তারের প্রয়োজন হয় কিন্তু সারা উপজেলায় ৭ জন ডাক্তার ও নেই । এরা কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিবে ?
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা শাখার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কোমর উদ্দিন জানান, আমরা মালিক পক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি দীর্ঘ দিন ধরে কিন্তু এর কোন সুরাহা এখনো হয়নি ।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু জানান , স্বাস্থ্য সেবা একটি মহান পেশা , এ পেশা যারা অবৈধ ভাবে করে আসছে এটা ঠিক না । এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।
উল্লেখ্য,  ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলায় ২৪২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে মধুখালীতে ২৬ টি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে।