১৪০ ট্যাবলেট খেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই কনস্টেবলের নাম রুবেল মিয়া (২৮)। রোববার রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে ময়মনসিংহ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে তিনি রাত সাড়ে আটটার দিকে থানার ম্যাসে রাতের খান। এরপর তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ‘দ্যা ইয়েন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। এটি রাত বারোটার দিকে তার ছোট ভাই দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। এরপর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে।
ঘটনার জানার পর নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ তাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে রুবেল মিয়া মারা যান। তিনি নেত্রকোণা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানা ব্যারাকে থাকতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল মিয়ার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কনস্টেবল রুবেল মিয়া ৮ বছর ৬ মাস ২৯ দিন আগে পুলিশে যোগদান করে। নেত্রকোণা মডেল থানায় ১ বছর ৬ মাস আগে যোগদান করে। পারিবারিক কলহের কারণে সে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।’