ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডোমারে ফসলের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার

নীলফামারী ডোমার বিএডিসি খামারে আউশ ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনে একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার উপদ্রব বাড়ায় এই ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ফসলের জমিতে সন্ধ্যার পরে ২/৩ ফিট উপরে বাশেঁর খুটিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে একটি পাত্রে ডিটারজেন পাউডার বা সবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ফাঁদটি তৈরি করা হয়।  বাল্বের আলো দেখে পোকা গুলো সেখানে চলে আসে এবং ফাঁদের নিচে রাখা পাত্রের পানিতে পরে মারা যায়। আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে জমির ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ ও উপকারী পোকা নির্নয় করা যায়। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ বেশী হলে দীর্ঘ সময় ধরে এই ফাঁদ স্থাপন করে রাখলে ক্ষতিকারক পোকা দমন করা সম্ভব । এতে করে ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে।
ডোমার বিএডিসি খামার সুত্রে জানাযায়, চলতি অর্থবছরে খামারটিতে ৩০০ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। ২০২১ সালে উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা ১০০ একর জমিতে পরিক্ষামুলক আউশ ধান চাষাবাদ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় ২০২২ সালে বেলে মাটির সাথে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার প্রয়োগ করে ২৪০ একর মাটিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। সেই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০৮ টন ধান বীজ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয় ৩৮০টন। সেই বছরেও আউশের বাম্পার ফলন হয়। ২০২৩ সালে খামারটিতে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছিলো। ফলন ভালো হওয়ায় চলতি অর্থবছরে  খামারটিতে ৩০০একর জমিতে আউশ ব্রি-ধান ৯৮ চাষাবাদ করা হচ্ছে। খামারটিতে  প্রতি বছরেই আউশের ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। আউশ ধান চাষাবাদ একটি চ্যালেঞ্জিং ফসল। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশী হয়। ঘন ঘন স্প্রে করেও  পোকা নির্মুল না হওয়ায় এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা চিহৃতকরন ও দমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে। এই আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে বিষ মুক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ : পুলিশের গুলি, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত ২০

ডোমারে ফসলের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার

আপডেট সময় ০৮:২০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

নীলফামারী ডোমার বিএডিসি খামারে আউশ ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনে একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার উপদ্রব বাড়ায় এই ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ফসলের জমিতে সন্ধ্যার পরে ২/৩ ফিট উপরে বাশেঁর খুটিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে একটি পাত্রে ডিটারজেন পাউডার বা সবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ফাঁদটি তৈরি করা হয়।  বাল্বের আলো দেখে পোকা গুলো সেখানে চলে আসে এবং ফাঁদের নিচে রাখা পাত্রের পানিতে পরে মারা যায়। আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে জমির ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ ও উপকারী পোকা নির্নয় করা যায়। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ বেশী হলে দীর্ঘ সময় ধরে এই ফাঁদ স্থাপন করে রাখলে ক্ষতিকারক পোকা দমন করা সম্ভব । এতে করে ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে।
ডোমার বিএডিসি খামার সুত্রে জানাযায়, চলতি অর্থবছরে খামারটিতে ৩০০ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। ২০২১ সালে উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা ১০০ একর জমিতে পরিক্ষামুলক আউশ ধান চাষাবাদ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় ২০২২ সালে বেলে মাটির সাথে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার প্রয়োগ করে ২৪০ একর মাটিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। সেই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০৮ টন ধান বীজ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয় ৩৮০টন। সেই বছরেও আউশের বাম্পার ফলন হয়। ২০২৩ সালে খামারটিতে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছিলো। ফলন ভালো হওয়ায় চলতি অর্থবছরে  খামারটিতে ৩০০একর জমিতে আউশ ব্রি-ধান ৯৮ চাষাবাদ করা হচ্ছে। খামারটিতে  প্রতি বছরেই আউশের ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। আউশ ধান চাষাবাদ একটি চ্যালেঞ্জিং ফসল। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশী হয়। ঘন ঘন স্প্রে করেও  পোকা নির্মুল না হওয়ায় এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা চিহৃতকরন ও দমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে। এই আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে বিষ মুক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।