ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটির গঠন উন্নত করতে ডোমার বিএডিসি খামারে ২’শ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজ উৎপাদন (বিএডিসি) খামারে মাটির গঠন উন্নত ও ফলন বৃদ্ধির জন্য চলতি অর্থ বছরে ২শ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। এসব ধৈঞ্চা গাছ  ৪ থেকে ৫ফিট লম্বা হলে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে মিশ্রণ ঘটানো হয়। যাহা পরবর্তিতে মাটির মান নিয়ন্ত্রণে সবুজ সার হিসেবে কাজ করে। ফলে এসব জমিতে ফসল চাষাবাদ করলে রোগবালাই এর আক্রমন কম ও ফলন বেশী হয়। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চার কার্যকারিতা অপরিসীম। ধৈঞ্চা চাষের ফলে মাটিতে রাসায়নিক সারের পরিমান কম লাগে। ধৈঞ্চা চাষের কারনে  মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার সুত্রে জানাযায় ৫শ ১৫একর জমির খামারটিতে প্রথমে আলু চাষাবাদ করা হতো। আলু উত্তোলণের পরে জমি গুলো কয়েক মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকতো। পতিত জমিগুলোর মাটি উর্বরতা বৃদ্ধির জন্যে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়। জমি গুলোতে বেলে মাটির পরিমাণ বেশী থাকায় তেমন ভালো ফলন হতো না। ২০২২ সালে খামারটিতে  বেঁলে মাটির সাথে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার, সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চার কার্যকারিতায় এখন সব ধরনের ফসল চাষাবাদে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান খামারটির উপ পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা যোগদানের পর থেকে পতিত জমি গুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসেন। এখন খামারটিতে আলুর পাশাপাশি বোর,আমন,আউশ ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। চাষকৃত সকল ফলন ভিত্তি বীজ হিসেবে সংগ্রহ করেন খামার কর্তৃপক্ষ।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা জানান, চলতি উৎপাদন মৌসুমে ৪শ একর জমিতে ভিত্তি বীজ আলু ও বিডার বীজ আলু উৎপাদন করা হয়েছিলো। আলু উত্তোলণের পরে জমি গুলো পরে থাকতো। বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় প্রতি বছরেই  আলু উত্তোলনের পরে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা চাষ করা হচ্ছে। সবুজ সার জমির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জমির পুষ্টি ধারণ ক্ষমতা ও পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ধৈঞ্চা চাষের ফলে মাটির গঠন ও বুনটের উন্নয়ন ঘটে। তিনি আরো জানান ধৈঞ্চার মাধ্যমে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৯০ থেকে ১২০কেজি নাইট্রোজেন ফিক্স হয় । যাহা ২শ থেকে ২শ ২০ কেজি ইউরিয়া সারের সমান। এতে করে পরবর্তি ফসলে ইউরিয়া সারের পরিমান কম লাগে। মাটির গঠন ও বুনট তৈরি করতে প্রতিবছর ডোমার বিএডিসি খামার ধৈঞ্চার চাষ করা হচ্ছে। ধৈঞ্চা চাষের ফলে জমির উৎপাদনশীলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। মাটির পুষ্টি উপাদান ভান্ডার রিক্স করতে  ও মাটির গঠন ও বুনট উন্নয়ন ঘটাতে ডোমার খামার নিরলস ভাবে প্রতি বছরে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা চাষ করছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রেস ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

মাটির গঠন উন্নত করতে ডোমার বিএডিসি খামারে ২’শ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ

আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজ উৎপাদন (বিএডিসি) খামারে মাটির গঠন উন্নত ও ফলন বৃদ্ধির জন্য চলতি অর্থ বছরে ২শ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। এসব ধৈঞ্চা গাছ  ৪ থেকে ৫ফিট লম্বা হলে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে মিশ্রণ ঘটানো হয়। যাহা পরবর্তিতে মাটির মান নিয়ন্ত্রণে সবুজ সার হিসেবে কাজ করে। ফলে এসব জমিতে ফসল চাষাবাদ করলে রোগবালাই এর আক্রমন কম ও ফলন বেশী হয়। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চার কার্যকারিতা অপরিসীম। ধৈঞ্চা চাষের ফলে মাটিতে রাসায়নিক সারের পরিমান কম লাগে। ধৈঞ্চা চাষের কারনে  মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার সুত্রে জানাযায় ৫শ ১৫একর জমির খামারটিতে প্রথমে আলু চাষাবাদ করা হতো। আলু উত্তোলণের পরে জমি গুলো কয়েক মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকতো। পতিত জমিগুলোর মাটি উর্বরতা বৃদ্ধির জন্যে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়। জমি গুলোতে বেলে মাটির পরিমাণ বেশী থাকায় তেমন ভালো ফলন হতো না। ২০২২ সালে খামারটিতে  বেঁলে মাটির সাথে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার, সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চার কার্যকারিতায় এখন সব ধরনের ফসল চাষাবাদে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান খামারটির উপ পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা যোগদানের পর থেকে পতিত জমি গুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসেন। এখন খামারটিতে আলুর পাশাপাশি বোর,আমন,আউশ ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। চাষকৃত সকল ফলন ভিত্তি বীজ হিসেবে সংগ্রহ করেন খামার কর্তৃপক্ষ।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা জানান, চলতি উৎপাদন মৌসুমে ৪শ একর জমিতে ভিত্তি বীজ আলু ও বিডার বীজ আলু উৎপাদন করা হয়েছিলো। আলু উত্তোলণের পরে জমি গুলো পরে থাকতো। বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় প্রতি বছরেই  আলু উত্তোলনের পরে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা চাষ করা হচ্ছে। সবুজ সার জমির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জমির পুষ্টি ধারণ ক্ষমতা ও পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ধৈঞ্চা চাষের ফলে মাটির গঠন ও বুনটের উন্নয়ন ঘটে। তিনি আরো জানান ধৈঞ্চার মাধ্যমে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৯০ থেকে ১২০কেজি নাইট্রোজেন ফিক্স হয় । যাহা ২শ থেকে ২শ ২০ কেজি ইউরিয়া সারের সমান। এতে করে পরবর্তি ফসলে ইউরিয়া সারের পরিমান কম লাগে। মাটির গঠন ও বুনট তৈরি করতে প্রতিবছর ডোমার বিএডিসি খামার ধৈঞ্চার চাষ করা হচ্ছে। ধৈঞ্চা চাষের ফলে জমির উৎপাদনশীলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। মাটির পুষ্টি উপাদান ভান্ডার রিক্স করতে  ও মাটির গঠন ও বুনট উন্নয়ন ঘটাতে ডোমার খামার নিরলস ভাবে প্রতি বছরে সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা চাষ করছে।