ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে প্রেমিকাকে  ধর্ষণ চেষ্টা, ৩ বখাটে আটক : থানায় মামলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রেমিকের সাথে ঘুরতে এসে সংঘবদ্ধ বখাটে চক্রের হাত থেকে পুলিশের অভিযানে রক্ষা পেল এক স্কুল ছাত্রী প্রেমিকা। এ ঘটনায় এক চেয়ারম্যানের পুত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ শে মে) দিবাগত রাতে ঘটনা স্থল থেকে চেয়ারম্যান পুত্রকে ও শনিবার (১ লা জুন)  সকালে আরো ২ আসামীকে আটক করে বিকেলে তাদের ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হল – চান্দ্রা ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার পুত্র পাচকুল গ্রামের সাইফুর রহমান সুজন (২৫), গোয়ালদী গ্রামের আবুতালেব মিয়ার পুত্র মুন্না মুন্সি (২০) ও হাসামদিয়া গ্রামের মুন্ন মুন্সির পুত্র তাহসিন মুন্সী (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়,  শিবচরের এক স্কুল ছাত্রী (সাদিয়া আক্তার) তার প্রেমিক  ইউনুচ সরদারকে নিয়ে ভ্যান যোগে ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোল চত্বরে ঘুরতে আসে।  এক পর্যায়ে তারা অনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় পৌছালে তিন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের গতিরোধ করে।  এ সময়  বখাটেরা প্রেমিক ইউনুস সরদার কে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমিকা সাদিয়া আক্তার কে সড়কের পাশে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঐ সময়ে ভাঙ্গা থানার একটি টহল পুলিশ ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রেমিক ইউনুস সরদার   পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাটক্ষেত থেকে ভিকটিমকে ( স্কুল ছাত্রী)  উদ্ধার করে এবং চেয়ারম্যানের পুত্র সাইফুর রহমান সুজনকে হাতেনাতে আটক করে। এসময়ে পুলিশর উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গীয় আরো দুইজন পালিয়ে যায়।
 এ ঘটনায়  ঐ শিক্ষার্থীর মা  জানান, আমার মেয়ে শিবচর উপজেলার সূর্যনগর টি, এম একাডেমী হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাঝে মধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলাই কাজ শিখে। শুক্রবার রাতে আমি থানা থেকে সংবাদ পাই , রাত ১১টার সময় ভাঙ্গা থানায় আসি এবং আমার মেয়ের নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন শুনি। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে মামলা করছি। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। আমি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই ।
এ ব্যাপারে চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লা জানান, আমার ছেলে ভাঙ্গা থেকে বাড়ি আসার পথে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভ্যানে  খারাপ দৃশ্য দেখে তাদেরকে সতর্ক করেছে। আমার ছেলে নম্র ভদ্র। ছেলেটা ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
 এ ব্যাপারে শনিবার (১ লা মে) ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ মামুন আল রশিদ জানান, শিবচর এলাকার থেকে এক স্কুলছাত্রী শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা গোলচত্বরে ঘুরতে আসছিল। ঘুরা শেষ করে ভ্যান যোগে রাত অনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় বাড়ি ফেরার পথে বাবানকান্দা এলাকায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের গতিরোধ করে মেয়েটিকে সড়কের পাশে পাট খেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  এ সময়  টহল পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঘটনার সাথে জড়িত এক ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র সাইফুর রহমান সুজনকে আটক করে। শনিবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িত আরো দুইজন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানা একটা ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছে। বিকেলে  ৩ আসামিকে  গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নির্মাণাধীন বেইলি সেতু ভেঙে এক নির্মাণ শ্রমিক আহত

ফরিদপুরে প্রেমিকাকে  ধর্ষণ চেষ্টা, ৩ বখাটে আটক : থানায় মামলা

আপডেট সময় ০৮:২৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রেমিকের সাথে ঘুরতে এসে সংঘবদ্ধ বখাটে চক্রের হাত থেকে পুলিশের অভিযানে রক্ষা পেল এক স্কুল ছাত্রী প্রেমিকা। এ ঘটনায় এক চেয়ারম্যানের পুত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ শে মে) দিবাগত রাতে ঘটনা স্থল থেকে চেয়ারম্যান পুত্রকে ও শনিবার (১ লা জুন)  সকালে আরো ২ আসামীকে আটক করে বিকেলে তাদের ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হল – চান্দ্রা ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার পুত্র পাচকুল গ্রামের সাইফুর রহমান সুজন (২৫), গোয়ালদী গ্রামের আবুতালেব মিয়ার পুত্র মুন্না মুন্সি (২০) ও হাসামদিয়া গ্রামের মুন্ন মুন্সির পুত্র তাহসিন মুন্সী (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়,  শিবচরের এক স্কুল ছাত্রী (সাদিয়া আক্তার) তার প্রেমিক  ইউনুচ সরদারকে নিয়ে ভ্যান যোগে ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোল চত্বরে ঘুরতে আসে।  এক পর্যায়ে তারা অনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় পৌছালে তিন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের গতিরোধ করে।  এ সময়  বখাটেরা প্রেমিক ইউনুস সরদার কে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমিকা সাদিয়া আক্তার কে সড়কের পাশে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঐ সময়ে ভাঙ্গা থানার একটি টহল পুলিশ ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রেমিক ইউনুস সরদার   পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাটক্ষেত থেকে ভিকটিমকে ( স্কুল ছাত্রী)  উদ্ধার করে এবং চেয়ারম্যানের পুত্র সাইফুর রহমান সুজনকে হাতেনাতে আটক করে। এসময়ে পুলিশর উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গীয় আরো দুইজন পালিয়ে যায়।
 এ ঘটনায়  ঐ শিক্ষার্থীর মা  জানান, আমার মেয়ে শিবচর উপজেলার সূর্যনগর টি, এম একাডেমী হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাঝে মধ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলাই কাজ শিখে। শুক্রবার রাতে আমি থানা থেকে সংবাদ পাই , রাত ১১টার সময় ভাঙ্গা থানায় আসি এবং আমার মেয়ের নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন শুনি। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে মামলা করছি। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। আমি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই ।
এ ব্যাপারে চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লা জানান, আমার ছেলে ভাঙ্গা থেকে বাড়ি আসার পথে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভ্যানে  খারাপ দৃশ্য দেখে তাদেরকে সতর্ক করেছে। আমার ছেলে নম্র ভদ্র। ছেলেটা ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
 এ ব্যাপারে শনিবার (১ লা মে) ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ মামুন আল রশিদ জানান, শিবচর এলাকার থেকে এক স্কুলছাত্রী শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা গোলচত্বরে ঘুরতে আসছিল। ঘুরা শেষ করে ভ্যান যোগে রাত অনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় বাড়ি ফেরার পথে বাবানকান্দা এলাকায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের গতিরোধ করে মেয়েটিকে সড়কের পাশে পাট খেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।  এ সময়  টহল পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঘটনার সাথে জড়িত এক ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র সাইফুর রহমান সুজনকে আটক করে। শনিবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িত আরো দুইজন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানা একটা ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছে। বিকেলে  ৩ আসামিকে  গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।