ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ফরিদপুরের মধুখালীতের এক গৃহবধুকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ মামলায় সুজন কুমার হালদার(২৮) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।
 বৃহস্পতিবার (২৩শে মে) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিহাবুল ইসলাম এই রায় দেয়। রায়ের  সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সুজন কুমার হলদার ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বেলেশ্বর গ্রামের সুশীল কুমার হলদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী সুজন প্রতিবেশি জগন্নাথদী স্কুলপাড়া গ্রামের চৈতন্য মালোর স্ত্রী স্বরসতী মালো(২৩) কে দীর্ঘদিন  যাবৎ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় শালিশে ওই গৃহবধুকে বিরক্ত না করতে আসামীকে  সতর্ক  করে দেয়া হয়। এরপর আসামী সুজন কুমার হলদার ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বরসতী মালো রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় পিছন থেকে একটি বোতলে এসিড নিয়ে তার মাথা বরাবর ঢেলে দেয়। সে সময় তরল এসিডে স্বরসতীর মাথা, মুখ ও ঘাড় পুড়ে যায়। আহত গৃহবধূকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার ২দিন পরে ১৮ নভেম্বর মধুখালী থানায় আহত স্বরসতীর ভাসুর কৃষ্ণ মালো বাদী হয়ে আসামী সুজন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
সেসময় থেকেই পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করে আসামীকে গ্রেফতার করে ও জেলা হাজতে প্রেরণ করে। প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে মধুখালী থানার পরিদর্শক  মো: আমিনুল ইসলাম প্রায় ১ বছর পর আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো: সানোয়ার হোসেন জানান, মামলারটির দীর্ঘ  স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে এসিড অপরাধ আইন ২০০২ এর ৫(ক) ধারায় বিজ্ঞ বিচারক আসামী সুজন কুমার হালদার কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।  এছাড়া ওই মামলায় অপর অভিযুক্ত আসামী গৌতম মন্ডলের অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে প্রেরন করা হয় ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পূর্বাচলের ৩শ ফুট সড়কে ৩ বুয়েট ছাত্রকে গাড়ী চাপা : নিহত ১, আহত ২, আটক ৩ 

ফরিদপুরে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় ০৭:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
ফরিদপুরের মধুখালীতের এক গৃহবধুকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ মামলায় সুজন কুমার হালদার(২৮) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।
 বৃহস্পতিবার (২৩শে মে) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিহাবুল ইসলাম এই রায় দেয়। রায়ের  সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সুজন কুমার হলদার ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বেলেশ্বর গ্রামের সুশীল কুমার হলদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী সুজন প্রতিবেশি জগন্নাথদী স্কুলপাড়া গ্রামের চৈতন্য মালোর স্ত্রী স্বরসতী মালো(২৩) কে দীর্ঘদিন  যাবৎ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় শালিশে ওই গৃহবধুকে বিরক্ত না করতে আসামীকে  সতর্ক  করে দেয়া হয়। এরপর আসামী সুজন কুমার হলদার ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বরসতী মালো রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় পিছন থেকে একটি বোতলে এসিড নিয়ে তার মাথা বরাবর ঢেলে দেয়। সে সময় তরল এসিডে স্বরসতীর মাথা, মুখ ও ঘাড় পুড়ে যায়। আহত গৃহবধূকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার ২দিন পরে ১৮ নভেম্বর মধুখালী থানায় আহত স্বরসতীর ভাসুর কৃষ্ণ মালো বাদী হয়ে আসামী সুজন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
সেসময় থেকেই পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করে আসামীকে গ্রেফতার করে ও জেলা হাজতে প্রেরণ করে। প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে মধুখালী থানার পরিদর্শক  মো: আমিনুল ইসলাম প্রায় ১ বছর পর আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো: সানোয়ার হোসেন জানান, মামলারটির দীর্ঘ  স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে এসিড অপরাধ আইন ২০০২ এর ৫(ক) ধারায় বিজ্ঞ বিচারক আসামী সুজন কুমার হালদার কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।  এছাড়া ওই মামলায় অপর অভিযুক্ত আসামী গৌতম মন্ডলের অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে প্রেরন করা হয় ।