ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধর

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিদ্যালয়ের টিনের সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন এ হাই খান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক ও ছাত্রীদের উপর হামলায় স্কুলের অন্যান্য সকল ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করলে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আহত শিক্ষক কৃষ্ণ দাস  ও ছাত্রী ইরাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সমর দত্তের পরামর্শে ভবতোষ দে ও  তার পরিবার জোরপূর্বক গালর্স স্কুলের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছিল। কয়েকদিন আগে স্কুল বন্ধের সময় তারা স্কুলের দেয়া বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। সোমবার বিকেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মিস্ত্রীরা  বেড়া দিয়ে গেলে সমর দত্তের হুকুমে ভবতোষ দে গং বাধা দেয়। এসময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণ দাস,আহসান ও নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাদেরকে এলোপাথারী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। শিক্ষকদের রক্ষা করতে ছাত্রীরা এগিয়ে আসলে সমর দত্তগং ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ইরাসহ কয়েকজন ছাত্রীর উপর হামলা করে তাদেরকে গুরুত্বর আহত করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

আহত ছাত্রী ইরা বলেন, আমাদের কৃষ্ণ দাস,আহসান ও নিজাম উদ্দিন স্যারদের উপর হামলা হয়েছে শুনে এগিয়ে গেলে তারা আমাকেসহ আমার কয়েকজন সহপাঠিকে মারধর করে আহত করে। আমরা আমাদের স্যারদের উপর হামলাকারীর বিচার দাবি করছি।

সহকারী কৃষ্ণ দাস জানান, ভবতোষ দে আমাদের স্কুলের বেড়া দিতে বাধায় দেয়। এতে আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে গেলে সমর দত্ত গং  আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করে।

হামলাকারী পলাশ দে বলেন, আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। মামলা শেষ না হতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, “স্কুলের বেড়া দেওয়া নিয়ে একটি পক্ষের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। এ সময় হয়ত কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে একটা সমঝোতা করে দেবে। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে আইনি পক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্যকুলে সরকারী খাল ভরাটের অভিযোগ প্রভাবশালী ফজল কারিকরের বিরুদ্ধে

শ্রীনগরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধর

আপডেট সময় ০৮:০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিদ্যালয়ের টিনের সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারধর করে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন এ হাই খান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক ও ছাত্রীদের উপর হামলায় স্কুলের অন্যান্য সকল ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করলে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আহত শিক্ষক কৃষ্ণ দাস  ও ছাত্রী ইরাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সমর দত্তের পরামর্শে ভবতোষ দে ও  তার পরিবার জোরপূর্বক গালর্স স্কুলের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছিল। কয়েকদিন আগে স্কুল বন্ধের সময় তারা স্কুলের দেয়া বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। সোমবার বিকেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মিস্ত্রীরা  বেড়া দিয়ে গেলে সমর দত্তের হুকুমে ভবতোষ দে গং বাধা দেয়। এসময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণ দাস,আহসান ও নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাদেরকে এলোপাথারী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। শিক্ষকদের রক্ষা করতে ছাত্রীরা এগিয়ে আসলে সমর দত্তগং ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ইরাসহ কয়েকজন ছাত্রীর উপর হামলা করে তাদেরকে গুরুত্বর আহত করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

আহত ছাত্রী ইরা বলেন, আমাদের কৃষ্ণ দাস,আহসান ও নিজাম উদ্দিন স্যারদের উপর হামলা হয়েছে শুনে এগিয়ে গেলে তারা আমাকেসহ আমার কয়েকজন সহপাঠিকে মারধর করে আহত করে। আমরা আমাদের স্যারদের উপর হামলাকারীর বিচার দাবি করছি।

সহকারী কৃষ্ণ দাস জানান, ভবতোষ দে আমাদের স্কুলের বেড়া দিতে বাধায় দেয়। এতে আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে গেলে সমর দত্ত গং  আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করে।

হামলাকারী পলাশ দে বলেন, আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। মামলা শেষ না হতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, “স্কুলের বেড়া দেওয়া নিয়ে একটি পক্ষের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। এ সময় হয়ত কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে একটা সমঝোতা করে দেবে। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে আইনি পক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।