শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নদীতে নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার (স্থানীয় নাম আত্মঘাতী ড্রেজার) দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি ভেঙ্গে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে, নদীর তীরের
কৃষি জমি ও বসতভিটা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ছুরির চর রাস্তার মাথায় গত কয়েকদিন ধরে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে
নদীতে থেকে খননযন্ত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ও বসতভিটা।
বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাত হলেই, প্লাস্টিকের ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে সেখানে খনন যন্ত্র বসানো হয়। খননযন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে বারবার উপজেলা প্রশাসনকে একাদিকবার জানানো হলেও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। থেমে নেই ড্রেজার সম্রাট, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ০২ নং ওয়ার্ড সদস্য জালাল খাঁন, রশিদ মাঝী, মোশাররফ সরকারসহ আরো কয়েকজন।
এবিষয়ে ড্রেজার পাটনার রশিদ মাঝী মুঠোফোনে বলেন, অফিসে আইসা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ কর।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ নদী থেকে খননযন্ত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ও বসতভিটা।অন্যদিকে সারাদিন মাঠে কাজ শেষে বাড়িতে এসে রাতে ড্রেজার মেশিনের শব্দে ঠিক মত ঘুমাতেও পারিনা।
এবিষয়ে ড্রেজার মালিক মোশাররফ সরকার মুঠোফোনে বলেন, একদিন চালাইছিলাম,মেম্বারসহ আমরা তিনজনই পাটনার।
বিভিন্নজন ফোন দিছে, কালকে কিছু মালামাল লেবার দিয়া উঠায়া লাইতাছি, আজকে বাকি মেশিন পাম্প উঠাইয়া থুইছি, আর চালাবোনা।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি দেখতেছি,
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।