মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রতিক বরাদ্ধের পর রাতের বেলায় দোয়াত-কলম প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মধ্যে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণে দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে জনি ইসলাম(২৫) ও আতিক(২২) নামে দুই যুবককে মারধর করে আহত করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, জনি ইসলাম ষোলঘর মৃধাপড়া ইউনুছের ছেলে এবং আতিক একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।

অবৈধভাবে টাকা বিতরণকারী ব্যক্তিরা হলেন, ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক,মোঃ দিপু মিয়া,যুবলীগ নেতা আনিল আহম্মেদ জয় ও স্থানীয় হেজা ইসলাম আজিজুল।

ভিডিওতে দেখা গেছে,দোয়া-কলম প্রতিকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এম মাহবুব উল্লাহ কিসমত এর কর্মী সমর্থক মোঃ দিপু মিয়া একটি শপিং ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বিল্লাল হোসেন,আনিল আহম্মেদ জয়, হেজা ইসলাম আজিজুলসহ বেশ কিছু কর্মী সমর্থকের মাঝে বিতরণ করছেন। এসময় জনি ইসলাম ও আতিক নামে দুই যুবক মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে দোয়াত-কলম কর্মী সমর্থক দিপু মিয়াগংরা তাদের বেধম মারধর করে। আহতদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দোয়াত-কলম কর্মী সমর্থকদেরকেও মারধর করে।পরবর্তীতে অবৈধভাবে টাকা বিতরণের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ষোলঘর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা সাইদুল মুন্সী জানান, প্রতিক পাওয়ার পর রাতের বেলায় ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দোয়াত-কলম কর্মী সমর্থক দিপু মিয়া ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে ভোটারদের অবৈধভাবে আইডি কার্ডের কপি নিয়ে ৩১জন ভোটারের মাঝে টাকা বিতরন করেন। এসময় আমার ভাগিনা সম্পর্কের জনি ইসলাম ও আতিক টাকার বিতরণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে দোয়াত-কলম কর্মী সমর্থকরা তাদের মারধর করে।

এব্যাপারে টাকা বিরতণকারী দিপু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টাকা বিরতণ করতেই পারি। আমি শ্রমিকদের মাঝে টাকা বিরতণ করেছি।

শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে তাৎক্ষনিক জানালে ব্যবস্থা নেয়া হত। এব্যাপারে সহকারী রির্টাণিং কর্মকর্তা বরাবরের লিখিত অভিযোগ দেন।