ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রেখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ 

সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের  পরিসংখ্যানবিদ,স্টোর কিপার ও বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার এর ০৩ টি পদ শুন্য রেখে ১২৯ টি পদে ফরিদপুর এর সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আহবান করেছে।  গত (২৫ শে মার্চ ) সোমবার   ১২৯ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্বাক্ষর করেন।
 (১লা এপ্রিল,২৪ ইং ) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি   প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান,
সদর উপজেলা র স্বাস্থ্য কর্মকর্তার  কার্যালয়ের   পরিসংখ্যানবিদ এর পদটি এক যুগেরও বেশি দিন ধরে শুন্য, পদটি ঈশিতা নামের একজন স্বাস্থ্য সহকারী দখল করে আছে। ঈশিতা বর্তমানে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিসংখ্যানবিদ ০২ টি পদ দখল করে আছেন। কাজ করেন শুধু পরিসংখ্যান পদের।
  সদর উপজেলায় বর্তমানে  স্টোর কিপার এর পদে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তার নাম কাজী মিরান। তার মুল পদ স্বাস্থ্য সহকারী। অবৈধ আদেশের বলে প্রায় ১৪ বছর ধরে নিজ বেতনে স্টোর কিপার। কাজী মিরান একাধারে স্বাস্থ্য সহকারী ও নিজ বেতনে স্টোর কিপার। দায়িত্ব পালন করছেন স্টোর কিপার এর।
  বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বর্তমান যিনি অবৈধ আদেশের বলে স্বাস্থ্য সহকারী পদ থেকে নিজ বেতনে ১৬ বছর ধরে স্টোর কিপার। বর্তমান তিনি সিভিল সার্জন ফরিদপুর এর আদেশে  বোয়ালমারী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সহকারী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নাম তার তৌহিদুজ্জামান লিটন। তৌহিদুজ্জামান লিটন একাধারে মুল পদ স্বাস্থ্য সহকারী, নিজ বেতনে স্টোর কিপার এবং প্রধান সহকারী। ০৩ টি পদের মালিক তৌহিদুজ্জামান লিটন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী সরদার জালাল জানান,  এখনে আমাদের কিছু করার নেই।প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল থেকে যেভাবে শুন্য পদ দেখানো হয়েছে, আমারা সেভাবে মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এই নিয়োগ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ২০১৮ সালে আমারা নতুন ভাবে কিছু চাহিদা চাইনি, এই নিয়োগের পরে আউট সোসিং এর মাধ্যমে নাইটগার্ড,দারোয়ান ও সুপাইপার নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নাইট গার্ড না থাকার কারনে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কোয়ার্টারসহ হাসপাতালের
জানালা দরজা চুরি হয়ে গেছে অধিকাংশ । অপর দিকে সুইপার না থাকার কারনে হাসপাতালটি নোংরা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের মূল্যবান অনেক মালামাল খোয়া গেছে।জরুরী ভাবে নাইট গার্ড ও সুইপার প্রয়োজন।
জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাষ্টার সহিদুল ইসলাম জানান, ১৬ জন নাইট গার্ড ও সুইপার থাকার কথা কিন্তু বতর্মানে মোট ৭জন আছে।
তিনি আরো জানান আমাদের হাসপাতালে স্হায়ী ভাবে নাইট গার্ড ও সুইপার জরুরী ভাবে প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সচেতন মহলের দাবি,  ফরিদপর সিভিল সার্জনএর  নিয়ন্ত্রণাধীন সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সকল শুন্য পদের তথ্য প্রতি মাসের ০৫ তারিখের মধ্যে বিভাগীয় পরিচালক এর দপ্তরে পাঠান। আার এই কাজটি সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী ভুল ভ্রান্তি যাচাই করে সিভিল সার্জন এর কাছে  উপস্থাপন করেন। সিভিল সার্জন স্বাক্ষর করেন তারপর বিভাগীয় পরিচালক এর দপ্তরে পাঠানো হয়।
মাসের পর মাস পরিসংখ্যানবিদ ০১টি ও স্টোর কিপার এর ০২ টি শুন্য পদের তথ্য গোপন করে কেন? কেনই বা সিভিল সার্জন অফিসের  প্রধান সহকারী ভুল ভাবে সিভিল সার্জন এর কাছে উপস্থাপন করেন? কেনই বা সিভিল সার্জন সাহেব সকল তথ্য জানার পরও ০৩ টি পদ শুন্য রেখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আহবান করেন? এই কারণে শিক্ষিত বেকার হয়ে যারা চাকরির জন্য ঘুরে  বেড়াচ্ছে তাদের চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো কার স্বার্থে ?
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীনগরে জলাবদ্ধতা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যুগ্ম-সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম 

ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রেখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ 

আপডেট সময় ০৩:৩৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের  পরিসংখ্যানবিদ,স্টোর কিপার ও বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার এর ০৩ টি পদ শুন্য রেখে ১২৯ টি পদে ফরিদপুর এর সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আহবান করেছে।  গত (২৫ শে মার্চ ) সোমবার   ১২৯ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্বাক্ষর করেন।
 (১লা এপ্রিল,২৪ ইং ) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি   প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান,
সদর উপজেলা র স্বাস্থ্য কর্মকর্তার  কার্যালয়ের   পরিসংখ্যানবিদ এর পদটি এক যুগেরও বেশি দিন ধরে শুন্য, পদটি ঈশিতা নামের একজন স্বাস্থ্য সহকারী দখল করে আছে। ঈশিতা বর্তমানে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিসংখ্যানবিদ ০২ টি পদ দখল করে আছেন। কাজ করেন শুধু পরিসংখ্যান পদের।
  সদর উপজেলায় বর্তমানে  স্টোর কিপার এর পদে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তার নাম কাজী মিরান। তার মুল পদ স্বাস্থ্য সহকারী। অবৈধ আদেশের বলে প্রায় ১৪ বছর ধরে নিজ বেতনে স্টোর কিপার। কাজী মিরান একাধারে স্বাস্থ্য সহকারী ও নিজ বেতনে স্টোর কিপার। দায়িত্ব পালন করছেন স্টোর কিপার এর।
  বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বর্তমান যিনি অবৈধ আদেশের বলে স্বাস্থ্য সহকারী পদ থেকে নিজ বেতনে ১৬ বছর ধরে স্টোর কিপার। বর্তমান তিনি সিভিল সার্জন ফরিদপুর এর আদেশে  বোয়ালমারী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সহকারী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নাম তার তৌহিদুজ্জামান লিটন। তৌহিদুজ্জামান লিটন একাধারে মুল পদ স্বাস্থ্য সহকারী, নিজ বেতনে স্টোর কিপার এবং প্রধান সহকারী। ০৩ টি পদের মালিক তৌহিদুজ্জামান লিটন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী সরদার জালাল জানান,  এখনে আমাদের কিছু করার নেই।প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল থেকে যেভাবে শুন্য পদ দেখানো হয়েছে, আমারা সেভাবে মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এই নিয়োগ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ২০১৮ সালে আমারা নতুন ভাবে কিছু চাহিদা চাইনি, এই নিয়োগের পরে আউট সোসিং এর মাধ্যমে নাইটগার্ড,দারোয়ান ও সুপাইপার নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নাইট গার্ড না থাকার কারনে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কোয়ার্টারসহ হাসপাতালের
জানালা দরজা চুরি হয়ে গেছে অধিকাংশ । অপর দিকে সুইপার না থাকার কারনে হাসপাতালটি নোংরা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের মূল্যবান অনেক মালামাল খোয়া গেছে।জরুরী ভাবে নাইট গার্ড ও সুইপার প্রয়োজন।
জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাষ্টার সহিদুল ইসলাম জানান, ১৬ জন নাইট গার্ড ও সুইপার থাকার কথা কিন্তু বতর্মানে মোট ৭জন আছে।
তিনি আরো জানান আমাদের হাসপাতালে স্হায়ী ভাবে নাইট গার্ড ও সুইপার জরুরী ভাবে প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সচেতন মহলের দাবি,  ফরিদপর সিভিল সার্জনএর  নিয়ন্ত্রণাধীন সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সকল শুন্য পদের তথ্য প্রতি মাসের ০৫ তারিখের মধ্যে বিভাগীয় পরিচালক এর দপ্তরে পাঠান। আার এই কাজটি সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী ভুল ভ্রান্তি যাচাই করে সিভিল সার্জন এর কাছে  উপস্থাপন করেন। সিভিল সার্জন স্বাক্ষর করেন তারপর বিভাগীয় পরিচালক এর দপ্তরে পাঠানো হয়।
মাসের পর মাস পরিসংখ্যানবিদ ০১টি ও স্টোর কিপার এর ০২ টি শুন্য পদের তথ্য গোপন করে কেন? কেনই বা সিভিল সার্জন অফিসের  প্রধান সহকারী ভুল ভাবে সিভিল সার্জন এর কাছে উপস্থাপন করেন? কেনই বা সিভিল সার্জন সাহেব সকল তথ্য জানার পরও ০৩ টি পদ শুন্য রেখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আহবান করেন? এই কারণে শিক্ষিত বেকার হয়ে যারা চাকরির জন্য ঘুরে  বেড়াচ্ছে তাদের চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো কার স্বার্থে ?