মুন্সীগঞ্জের সদরে মহাকালী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডে মুক্তা বেগম(৩৭) নামে এক গৃহিনীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মুক্তা বেগম (৩৭) মৃত মোসলেম মাদবরের মেয়ে স্বামী সুমন খান প্রবাসে থাকায় তার বৃদ্ধ মা মাসুদা বেগম (৫৬)কে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন।
গত ১০ ই এপ্রিল বুধবার বার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী মুক্তা বেগমের ভাড়া বাড়ি হতে কিছু দূর পরিত্যক্ত একটি মাটির ভিটির ওপর তার গলাকাঁটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
মূলত পরিত্যক্ত ভিটিতে বিভিন্ন কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ রাখা হয়।
তবে হত্যা কান্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত প্রাথমিকভাবে পুলিশ তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
জানা যায়,মৃত মুক্তা বেগমের পরিবারের সাথে দীর্ঘ বছর যাবৎ জমি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
বিরোধী পক্ষ বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দেওয়া ছাড়াও কয়েক দফায় তাদেরকে নির্যাতন করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
ধারনা করা হচ্ছে, জমি নিয়ে দীর্ঘ বছরের বিরোধের জেরেই পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করে মাটির ভিটির ওপর ফেলে রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা সকালে মুক্তা বেগমের মৃত দেহ দেখতে পেলেও, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন মাসুদা বেগম। প্রতিবেশীরা জানান, তিনি ঠিক মত চলাফেরা করতে অক্ষম,অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলতে হয়।নিহত মুক্তা তার মা মাসুদা বেগম এবং ২ সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান,চলমান জমির মামলাটি দেখা শুনা করতেন মুক্তা বেগমের ভাই সিফাত মাদবর।
দীর্ঘ দিন ধরে তারও কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এমন কি মুক্তা বেগমের মৃত্যু এবং তার মা মাসুদা বেগম নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তার দেখা পাওয়া যায়নি। নিহতের দেহ ময়না তদন্তের জন্য ঐ দিনই মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং নিহতের মা মাসুদা বেগমকে খোঁজে না পাওয়ায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এই মামলার চার্জশীট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।