তাপপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে কমপক্ষে ১৫/২০টি স্থানে বিটুমিন গলে যাওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) বিরুদ্ধে। এরপর বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন দুদকের প্রতিনিধি দল। এর আগে জেলা সড়ক ও জনপথ কার্যালয় থেকে সড়কটির সংস্কার কাজের নথিপত্র সংগ্রহ করে সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে দুদক। এসময় প্রাথমিকভাবে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার সত্যতা পেয়েছে বলে জানায় দুদক।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, শরীয়তপুর মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এই সড়কটি দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন মেঘনা নদী পাড় হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করে। বর্তমানে দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নিত করনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সড়কটি সচল রাখতে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর জুন হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভেদরগঞ্জের বালিবাড়ির মোড় থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশ বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করে সংস্কার করা হয়। তবে তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকে শরীয়তপুরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি হতে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত হওয়ায় সড়কটি উত্তপ্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানের বিটুমিন গলে যায়।
এর আগে গতমাসের ২৪ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, ভেদরগঞ্জের বালিবাড়ির মোড় থেকে খায়েরপট্টি পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেজা। যে স্থানে গাছের ছায়া রয়েছে সেখানে সড়ক স্বাভাবিক। যে অংশে রোদ পড়েছে, সেখানে সড়কের বিটুমিন গলে সড়ক ভিজে উঠেছে। ওইসব স্থান দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে টায়ারে বিটুমিন লেগে যাচ্ছে। ওই স্থানে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। ছোট যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বিটুমিন উঠে যাওয়া অংশ এড়িয়ে চলাচল করছে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, সড়কটি পরিদর্শনে এসে প্রাথমিকভাবে পিচ গলে যাওয়ার সত্যতা পেয়েছি। এই সড়কের পিচসহ অন্যান্য মান ঠিক ছিল কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। যদি সড়কের কাজে কোন অনিয়ম থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।