সাইফুল্লাহ, মোহাম্মাদপুর প্রতিনিধি:
১৪৪৩-৪৪ হিজরি শিক্ষা বর্ষের বুখারী শরীফ খতম অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো জামিয়াতুল আজিজ আল ইসলামিয়া’য়। এ বছর দাওরা হাদিসে এখানে মোট ২৭ জন শিক্ষার্থী খতমে বুখারী শরীফে অংশগ্রহণ করেছে।
গতকাল শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারী বাদ আসর থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত, হামদ-নাত এবং একে একে দাওরায়ে হাদীসের সকল মুহাদ্দিস গণ বয়ান করে থাকেন। বাদ মাগরিব বয়ান পেশ করেন- হযরত মাওলানা ইসমাঈল যশোরী দা.বা. এবং সর্বশেষ বয়ান পেশ করেন- হযরত মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী দা.বা.।
প্রধান মেহমান হিসেবে এখানে উপস্থিত ছিল হযরত মাওলানা ইসমাইল বরিশালী সাহেব। যিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং জামিয়াতুল আজিজ আল ইসলামিয়া প্রধান মুহাদ্দিস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামিয়াতুল আজিজ আল ইসলামিয়ায় সাবেক মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা ইসমাইল যশোরী সাহেব।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বয়ানে বিদায় ছাত্রদের পরবর্তী জীবন কিভাবে সাজাবে সে বিষয়ে উল্লেখ করেন। নতুন জীবনে কিভাবে তারা শুরু থেকেই শুরু করবে সে বিষয়েও তিনি কথা বলেন। ইসলামকে আঁকড়ে ধরে দুনিয়াবী সমস্ত কার্যকলাপ থেকে নিজেকে আলাদা রেখে আল্লাহর দিকে রুজু হওয়ার কথা তিনি বলেন। এ সময় ইতিপূর্বে সকল মনীষীদের বাস্তব জীবন সম্পর্কে তিনি তুলে ধরেন। হযরত মাওলানা শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক(রহ) সম্পর্কেও তিনি বলেন।
এছাড়া কোন আমলে কোন বরকত হবে এবং কোন বিপদ থেকে বাঁচার জন্য কোন আমল করতে হবে, এ বিষয়ে তিনি খুব সুন্দরভাবে বয়ান করেন।
মজলিসে উপস্থিত ছিলেন জামিয়াতুল আযীয আল ইসলামিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হক সাহেব,
প্রিন্সিপাল হাসান আহমদ, ভাইস প্রিন্সিপাল নাঈমুল হক । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র মাদরাসার সহকারী শিক্ষাসচিব আবুল কালাম। সকল শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মহল্লা থেকেও অনেক সাধারন মানুষের আগমন ছিল এ মজলিসে। এছাড়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব গণও বরকতময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুখারী শরীফ খতম অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মুনাজাত এবং দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা ইসমাইল বরিশালী সাহেব মোনাজাত পরবর্তী অনুষ্ঠান ছিল ১৪৪৩-৪৪ হিজরী শিক্ষা বর্ষে দাওরা হাদিস শরীফে যে সকল ছাত্র সারা বছর বিনা অনুপস্থিতিতে ক্লাস করেছে, দাওরা হাদিস এর নেগরান উস্তাদের পক্ষ থেকে কিতাব উপহার দেওয়া হয়। এ বছর মোট ২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জনই ছিল গত বছরের সারা বছরের উপস্থিতি পুরস্কার প্রাপ্য।
অনুষ্ঠান শেষে এশার নামাজের পর দাওরা হাদিস শিক্ষার্থীদের এবং মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সাধারণ সাধারণ মানুষসহ এবং সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।